Wednesday, 5 September 2012

CRPD Easy Read in Bengali (2nd Edition)

We are proud to announce that following a massive success of its 1st edition, Disability Bangladesh together with National Disability Forum (NFOWD) are going to publish the 2nd edition of CRPD Easy Read in Bengali. Sight Savers International (SSI) and Manusher Jonno Foundation (MJF) are providing their generous funding support for this project. This time the publication appears different both in its form and content. With more lucid language, explanations, diverse examples and applications in advocacy the publication aims to reach out more readers speaks in Bengali.    

Sunday, 16 October 2011

Friday, 28 January 2011

Popular Version of CRPD in Bengali

Disability Bangladesh has facilitated to develop a popular version of Convention on the Rights of Persons with Disabilities (CRPD) in Bengali. Chairperson of Disability Bangladesh Mahbub Kabir led the process together with his colleagues Faisal Bin Majid, Mizan Rahman and Vashkar Bhattacharya. National Disabiity Forum (NFOWD) has published the document and made available for free.
This is another consecutive success of Disability Bangladesh as the organisation did initiate the first standard translation work of CRPD, which has also been published previously and made available for free. The leadership of Disability Bangladesh made it copyleft for its further usage and multiplication.For free download please connect: http://www.nfowd.com/CRPD%20Popular%20Version.pdf

Monday, 15 February 2010

মাথা উঁচু করে বাঁচুক ইশারা ভাষী মানুষ-বাংলা ইশারা ভাষার চাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

প্রকৃতির সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ, আর মানুষের সেরা সৃষ্টি হল তার নিজের ভাষা 04; একথা হলপ করে বলা যায় ভাষা পৃথিবীতে কোন ওহি নাজেলের মাধ্যমে আবির্ভূত হয়নি বরং তা মানুষের প্রয়োজনে মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে এবং এই মানুষের দ্বারাই এর বিকাশ ঘটেছে। ভাষার ব্যবহার মানব সভ্যতার বিশাল এক বুদ্ধিবৃত্তিক জয়, ভাষাই মানুষকে অন্য প্রাণীদের হতে আলাদা করেছে। ভাষা আবিস্কার হয়েছিল বলেই মানব জ্ঞান কালান্তরে সঞ্চালিত হয়ে বর্তমানেও বর্তমান। মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে মানব জ্ঞানযা ভাষার মাধ্যমেই চলমান ও জীবন্ত। ভাষা হচ্ছে জীবনের জীবন্ত ছবি যার প্রকাশ শব্দ বা ইশারায়। শব্দই একমাত্র কথা বলার উপায় নয়, আর মানুষ উচ্চারিত সব শব্দই কথা নয়। যে শব্দ কানের সদর থেকে মনের অন্দরে প্রবেশ  করে অনুভূতির পর্দায় দৃশ্যকল্পের অনুরনণ তুলতে  পারে তাই কথা। যে জন যে ভাষা জানে না, সেই ভাষায় কথা তার কাছে শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। অভ্যাসজনিত কারনে বা অবচেতনভাবেই আমরা প্রায় সকলেই প্রাত্যহিক জীবনে অসংখ্য 39;শারা বা সংকেত ব্যবহার করি ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে। কিন' কেবল মাত্র সংকেত বা ইশারার মাধ্যমেই যে একটা সয়ংসম্পূর্ন ভাষা হতে পারে যা দ্বারা পরিপূর্ন ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় এটা আমাদের অনেকেরই অজানা। পৃথিবীতে প্রায় প্রতি লাখে দেশ ভেদে তিরিশ থেকে সত্তুর জন লোক বাক প্রতিবন্ধি এবং তারা ইশারা ভাষার মাধ্যমে কথা বলে।

ইশারা কি ভাষা? শব্দ ছাড়া কি ভাষা হয়? জনাই বা কথা বলে ওভাবে? ওরা তো বোবা, বধির! বোবার কোন শত্র্ব নেই’-এমন অনেক প্রবাদও চালু আছে আমাদের সমাজে। আমাদের মনোজগতেও দখল করে আছে এই ভাবনা আর বিশ্বাস। ফলে যে জ্ঞানের বলে আমরা আলাপচারিতা জমিয়ে তুলি, বর্ননা করি, ব্যাখ্যা দেই, তার প্রাথমিক অনুমানই হলো শব্দ, শব্দ ছাড়া ভাষা হয়না। এমন কি জ্ঞান-লাভের প্রাথমিক পর্বে আমরা যখন ভাষার সংজ্ঞা শিখেছি, তাতেই বলা হয়েছে অর্থবোধক শব্দেরআবশ্যকতার কথা। ভাষা বিষয়ে জ্ঞানের এই প্রতিষ্ঠিত বলয়ের বাইরের জগত নিয়ে আজকের কথা। এই ভাষার নাম ইশারা ভাষা। ইশারা নিজেই একটি ভাষা। সবচেয়ে আদি ভাষা বোধ করি। আজকে দুনিয়ায় তবে কেন এই ভাষার কথা উঠছে? মজার ব্যাপার হলো:ফরাসী ইশারা ভাষা, ব্রিটিশ ইশারা ভাষা, আমেরিকান ইশারা ভাষা-এগুলো রীতিমত রাষ্ট্র-স্বীকৃত ভাষা। আমেরিকায় ইশারা ভাষা তো সেদেশে চতুর্থ বহুল-ব্যবহৃত ভাষা! চমকে উঠবার মতোই তথ্য বটে, শুধু তাই নয় আমেরিকার সাউথ ডাকোটায় গড়ে উঠার ইন্তেজাম শেষ হয়েছে ইশারাভাষীদের জন্য সয়ংসম্পূর্ন আলাদা একটি শহর। বাংলায়ও ইশারা ভাষা আছে। আছে এর বর্নমালা, অর্থবোধক ইশারামালা আর ব্যবহারবিধি। শিখে ব্যবহার করতে পারেন যে কেউই। পশ্চিমের অনেক দেশেইে, বিশেষ করে, আমেরিকা ও কানাডাতে আমরা বাংলাদেশে যাদেরকে আইনী ভাষায় মূক ও বধিরকিংবা যত্ন করে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধিবলি, তাদের রয়েছে শক্তিশালী সংগঠন ও এর সামাজিক প্রতিফলন এবং জাতীয় উন্নয়নে সমঅংশীদারিত্ব। প্রতিবন্ধি যদি হয় পারা-না-পারার মানে, সেই হিসাবে এঁরা নিজেদের গড়পড়তায় প্রতিবন্ধিমানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, তারা অন্য যে কোন মানুষের মতোই সকল কাজ করতে সৰম। স ্বাবলম্বীভাবেই। তাঁদের রয়েছে একটি নিজস্ব শক্তিশালী ভাষা। ইশারা ভাষা। মুশকিল হলো ভাষাটি অন্যরা জানেনা। জানতে চেষ্টাও করেনা। অথচ ইশারা ভাষার ইতিহাস মোটেও নতুন নয়। ইশারা ভাষার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুলত ফ্রান্সে, যদিও বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও সীমিত আকারে ইশারা ভাষার ব্যাবহার ছিল। এই ভাষার উন্নয়ন ও অস্তিত্বে জন্য একক কৃতিত্বের দাবিদার ফ্রান্সের অননব ঝরপধৎফ ১৭৫৫ সালে প্যারিসে ইশারাভাষীদের জন্য অননব ফব খ'ঊঢ়বব নামে প্রথম কোন শিৰা প্রতিষ্ঠান স'াপন করে এ ভাষার উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক সূচনা করেন। কিন' আজ পর্যন্ত এই ভাষাকে উন্নয়নের মূল স্রোতে ভাবা হয়নি ফলে এই ভাষার নেই কোন স্বীকৃতি। তারা একটি ক্ষুদ্রভাষাগোষ্ঠী (ষরহমঁরংঃরপ সরহড়ৎরঃু) তাঁদের দাবি, পৃথিবীর তাবৎ ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠির মতোই তারা অবহেলিত এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্যেও শিকার। তবে খুশির বিষয় হল, আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রন্সসহ অনেক দেশেই এই ইশারা ভাষার স্বীকৃতি রয়েছে। বর্তমানে আমেরিকায় ব্যবহৃত ইশারা ভাষা উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তখনকার ফ্রেন্স ও আমেরিকান ইশারা ভাষার সমন্বয়ে তৈরী করা হয় যা বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুসংগঠিত ইশারা ভাষা। উন্নয়নশীল বিশ্বেরও অনেক দেশেই রয়েছে এই ভাষার মর্যাদা। রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতির সাথে সম্পর্ক মানুষের মর্যাদার। মানুষের স্বাতন্ত্র আর ভিন্নতার তথা মানব বৈচিত্রের স্বীকৃতি। চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞান যাদেরকে  বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধিবলে এবং যারা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইশারা ব্যবহার করেন, তারাই মুলত নি:শব্দ এই ভাষার ব্যবহারকারী বা ইশারাভাষি। পন্ডিত দাইসাকু ইকেদা প্রভাবিত বৌদ্ধ দর্শনের আধুনিক সোকা গাকাই ঘরানার বক্তব্য হল, এদেরকে গড়পড়তায় প্রতিবন্ধি মানুষের কাতারে দাড় করিয়ে দেয়া অন্যায়। এর পূর্ব অনুমান হল, ‘এরা কথা বলতে পারেনা। কথা মানে শব্দ-ঠিক এই মত সত্য ধরে নিয়ে শব্দ দিয়ে কথা বলা মানুষেরা এক জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই রাজ্যে শব্দহীন ভাষার নাই কোন স'ান। কম-সংখ্যক মানুষের বলা ভাষার মূল্য নেই। শব্দের আর সংখ্যার এই আধিপত্য বলে দিয়েছে বিষয়টা ঠিক স্বাভাবিক নয়। আধিপতির ভাষাই এমন। অধিপতি সাদা মানুষও একদা ঘোষনা করেছিল যে কালো মানুষ স্বাভাবিক নয়। পুর্বষ ঘোষনা করেছিল নারীরা মানুষ হলেণও অসম্পূর্ন। এবং যা কিছু বেশীর ভাগ মানুষ করে, সেই সমাজের সংস্কৃতিতে তা-ই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকতার মান দণ্ড তাই ঠিক করে দিয়েছে শব্দভাষী সংখ্যাগুর্বর দল। এর ফলে দেখা যাবে , বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা এককটি ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠী হলেও তাদের মাতৃ ভাষার ব্যবহার বিকশিত হবার সকল দ্বার র্বদ্ধ। সরকারী ভাবে এদেশে ইশারা ভাষার স্কুল আছে। তবে স্কুলগুলোর নাম মুক ও বধিরবিদ্যালয়। লোকালয়ে বলে বোবা স্কুল

বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰা ও গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রতিবন্ধিতা নিয়ে কর্মরত বেসরকারী সংগঠন সেন্টার ফর ডিজএবিলিটি এন্ড ডেভলপমেন্ট (সিডিডি) আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস'া একশন এইড ও ক্রিষ্টোফেল বৱাইন্ড মিশন এর সহযোঘীতায় ইশারায় বাংলা ভাষা তৈরীর কাজ করে। ইনস্টিটিউটের প্রয়াত শিৰক ড. নিরাফাত আনাম এই কাজের নেতৃত্ব দেন। সারা দেশের শিৰিত, স্বল্পশিৰিত ও নিরৰর ইশারাভাষী ব্যক্তি, ইশারা ভাষার প্রশিৰক, বিশেষ শিৰা গবেষক, উন্নয়নকর্মী মিলে একটানা সাত বছর কাজ করে শব্দমালা তৈরী করা হয়। এর আগে কাজ চালাবার মতো কিছু বাংলা ইশারা শব্দমালা তৈরী করে দিয়েছিল জাতীয় বধির সংঘ। তা দিয়ে সম্পূন্র্‌ ভাষা হয়না।

এখন কি করতে হবে? ইতোমধ্যেই তৈরী এই কারিকুলামকে সরকারী কারিকুলামে পরিণত করা দরকার। স্কুলগুলোর জন্য। কিংবা সরকারী বিদ্যালয়গুলোতে যাকিছুই ভাষার ভান্ডার আছে, তার সহযোগী কারিকুলাম হতে পারে এই কাজটি। সরকারী মুক ও বধিরবিদ্যালয়সমুহের নাম পরিবর্তন করে ইশারা ভাষার/ইশারাভাষীদের স্কুলকরা দরকার। এতে সমাজে এরা ভাষাহীনবা নির্বাকহিসাবে পরিচিত না হয়ে ভাষাভাষি মানুষ হিসাবে পরিচিত হতে পারবে। দুর হতে শুর্ব করবে এদের প্রতি আরোপিত ভুল ধারণা। ইশারাভাষীদের একটি স্বতন্ত্র ভাষাগোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া দরকার। এই ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। এৰেত্রে বাংলা একাডেমির ভ'মিকা রাখার অবারিত সূযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই সামাজিক আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে ইউনেস্কো। এই জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্যের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা দরকার যাতে মানব জ্ঞানে সকলের সমঅধিকারের সূযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলেই তারা উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আত্নমর্যাদাশীল মানুষ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে।। গনমাধ্যম, বিশেষ করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভ'মিকা বেশী গুর্বত্বপূর্ন। তথ্য মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমুর্তি পরিবেশন জর্বরী। এদের সম্পর্কে গৎবাধা, ভুল ধারণাগুলি দুর করা দরকার। প্রকৃত অর্থে ইশারাভাষী মানুষদের মূল প্রতিপৰ শব্দভাষী মানুষদের চেতনায় গ্রনি'ত ভুল উপলব্ধি। ইশারাভাষী মানুষদের সম্পর্কে শব্দভাষী মানুষদের সঠিক আত্নউপলব্ধির অভাব সভ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।  সমপ্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠীর অধিকার সনদে অনুস্বাৰর করেছে। প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এটি। গত ৩ মে ২০০৮ থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। আমাদের জন্য এই সনদ এখন আইনী বাধ্যবাধকতা 04; সনদে বাচনিক ও ইশারা ভাষাসহ অবাচনিক সকল ভাষাকেই ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি মানব পরিবারের এক ক্ষুদ্র ভাষাভাষি গোষ্ঠীর প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন।

এরই মধ্যে বায়োনিক ইয়ার বা ককলিয়ার ট্রান্সপৱান্ট আবিস্কার হয়েছে। ইশারা ভাষার মানুষের অস্তিত্বের জন্য এটি একটি বড় ঘটনা। এই আবিস্কারের মূখোমুখি অবস'ান ইশারা ভাষার। বিজ্ঞানের সাথে সামাজিক দর্শনের দ্বন্দ্ব। প্রতিপৰ বিজ্ঞান? ডেফ লাইফ নামে খুব জনপ্রিয় ম্যাগাজিন একবার এক জড়িপ চালাল। ইশারাভাষী মানুষদের কাছে জানতে চাওয়া হল তারা শুনতে চান কি-না।আশি শতাংশ মানুষের জবাব ছিল না। জানতে চাওয়া হল, তারা ককলিয়ার ট্রান্সপৱান্ট করতে চান কি-না। দশ জনে আটজন জবাব দিল না। শব্দের কোন অর্থই নেই তাদের জীবনে। কেন শুনতে পারা দরকার, তাই ভেবেই তারা বিস্ময় প্রকাশ করলেন। এটা ইশারাভাষী পরিচয় নিয়ে সম্মানের সাথে বাস করা মানুষদের মতামত। তাদের অভীজ্ঞতা হল:শব্দ দিয়ে কথা-বলা মানুষেরা ভীষন অসহিষ্ণু! অন্তত তাদের বেলায়। তাই ঐ দলে নাম লেখানোয় এত অনীহা।

এই দেশের অগ্নি সন্তানেরা নিজের ভাষায় কথা বলবার অধিকার পাবার জন্য লড়ে ইতিহাস গড়েছে। আবার এই দেশেই ভাষাগত ভাবে সংখ্যালঘু মানুষেরা এখনও তাদের নিজের ভাষায় লেখাপড়া করতে পারেনা। আর ইশারাভাষীদের সমস্যা তো আরেক ধাপ প্রকট। ইশারা নামের এই ভাষাটির কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নাই। একটি স্বতন্ত্র ভাষাগোষ্ঠী হিসাবে অধিকারের দাবি-দাওয়া তো আরো পরের কথা। শব্দভাষীদের গড়া কোন প্রতিষ্ঠানে এদের প্রয়োজন উপেৰিত, এরা অবাঞ্চিত। উপেৰা, বঞ্চনা আর শব্দভাষী প্রভূর হাতে এক অদৃশ্য দাসত্বের পিঞ্জরে কর্বনার জিঞ্জিরে বাধা পড়ে আছে এই মানুষদের জীবন। বিপরীতে সন্দেহের ভ্র্বকুটি, স্বীকৃতি দেবার প্রতাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শব্দে কথা-বলা মানুষের দল, তাদের দাপুটে প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশ। পাশে দাঁড়িয়ে আমরা ইশারাভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রতিবন্ধকতা, সামাজিক দূর্ভোগ ও বৈষম্যের অবসান চাই। চাই পৃথিবীর সকল রস, রূপ, গন্ধে সকল মানুষের সমান অধিকার। মানুষের শারিরীক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ভিন্নতার বৈচিত্র নিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবী চাই। ইশারাভাষী মানুষের মনের কথা জানুক শব্দভাষী মানুষেরা। শব্দের দাপটে গড়ে ওঠা ভাষাভিত্তিক জ্ঞানের অসারতা ঘù7;চে যাক শব্দহীন ভাষার আলোকবর্ö8;িকায়। আসুন সকলে মিলে ইশারভাষী মানুষের জন্য একটি অনুকুল পরিবেশ গড়ে তুলি। যাতে কোন মানুষের বিকাশে শব্দভাষাবৈষম্যের দেয়াল না হয়ে দাাঁড়ায়। যেন কর্বনার শিকার না হতে হয় তাদের। আজ ও আগামীর সকল ভাষাভাষী যেন সমান অধিকার ও মর্যাদা পায়। মানুষের মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্ন পূরনে রাষ্ট্র এগিয়ে আসবে নিশ্চই। এটাই তো ছিল মহান সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদের অঙ্গিকার-সকল নাগরিকের জন্য সূযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন

Mahboob Kabir, Mizan Rahman

 

 

Wednesday, 10 February 2010

প্রতিবন্ধিতার কারণে হত্যা করা সেই টেরি শিয়াভো কে নিয়ে চলচ্চিত্র

টেরি শিয়াভোর কথা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে? ২০০৫ সালে দুনিয়াজুড়ে মানুষ এই নারীর জীবনের জন্য কেঁদেছে। কিন্তু মানবাধিকারের ধ্বজাধারি সেই মার্কিনমুলুকেই হাজারো মানবাধিকার কর্মীর প্রতিবাদের মুখেও টেরিকে ইউথেনেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল। টেরির মা বলল, ওকে যখন বলা হল, তোমার খাবারের নল খুলে নেবে ওরা! টেরি চিৎকার করে বলতে চেয়েছিল, আমি বাঁচতে চাই! কঠোর পুলিশি প্রহরার মধ্য দিয়ে কোর্টের নির্দেশ তামিল করে ফ্লোরিডার সেবাকেন্দ্র, টেরি এখানে বেচে ছিল জীবন-সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করে। হাসত, মায়ের সাথে, স্বামীর সাথে সময় কাটাতো, চেয়ে দেখত পৃথিবীর অপরূপ সৌন্দর্য। কোর্ট রায় দিল, এ জীবন না থাকাই ভাল। প্রতিবন্ধিতার অজুহাতে আজো ঘটে চলেছে এমন হত্যা, দেশে দেশে...
টেরিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। নাম দি টেরি শিয়াভো স্টোরি। লিংক দেয়া হল :
http://www.theschiavostory.com/?gclid=CPHniJHW2ZgCFQIMswod3nm7dQ

Sunday, 31 January 2010

টিটো রাজস্বী মুখোপাধ্যায় : এক অটিস্টিক কবি দার্শনিকের পৃথিবী

দক্ষিণ ভারতে জন্ম নেয়া টিটো রাজর্স্বী মুখোপাধ্যায় আজ যুবক। তিন বছর বয়সে সেই আমলের বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ও মেন্টালি রিটার্ডেড (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী)। বলেছিল, গুরুতর অটিজম (সিভিয়ার অটিজম) আছে ওঁর। মুখে কথা বলার স্বভাব নেই টিটোর। ওর মা সোমা মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা আর অধ্যাবসায় টিটো-কে পড়তে লিখতে শিখিয়েছে। লিখে লিখে চিন্তা আর প্রজ্ঞা প্রকাশ করতে শিখিয়েছে। অটিজম স্পিকস (আগে এর নাম ছিল কিউর অটিজম নাউ বা ক্যান)নামের একটি সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় ওরা পাড়ি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্দেশ্য নাম-করা সব স্নায়ু বিজ্ঞানী আর বিশেষজ্ঞ টিটো-কে নিয়ে গবেষণা করবেন। ক্যান জানবে মা সোমার অভিজ্ঞতা। টিটো আজ অসাধারণ মেধাবি দার্শনিক আর কবি বলে সুপরিচিত। বর্তমানে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এ। এরই মধ্যে ওঁর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বেয়ন্ড দা সাইলেন্স : মাই লাইফ এন্ড দা ওয়ার্ল্ড এন্ড অটিজম, দি মাইন্ড ট্রি, দি গোল্ড অব দা সানবিমস, সামপ্রতিক প্রকাশনা হাউ ক্যান আই টক ইফ মাই লিপস্‌ ডোন্ট মুভ : ইনসাইড মাই অটিষ্টিক মাইন্ড। টিটোর কবিতায় প্রকাশ পায় ওঁর মনের কথা, চিন্তার কথা, অনুভূতির কথা। জানা যায় ওর পৃথিবীর রং রূপ গন্ধের কথা। টিটো-র স্বানন্দ সম্মতি নিয়ে দুটি কবিতার বাংলা রূপ নীচে পরিবেশিত হল :
কবিতা এক
নর-নারীর কৌতুহলী চোখ আমায় পরখ করে
ডাক্তারের দুর্বোদ্ধ শব্দকোষ বয়ান করে শরীর আমার
আমি চেয়ে থাকি অবাক বিস্ময়ে
আমার চিন্তা আমার বলা-না-বলার চেয়ে দীর্ঘতর
আমার প্রতিটি সঞ্চরণ ভেসে আসা সব আর্তনাদ
ঘটনা পরম্পরার বন্দীশালা থেকে
কারণের ঘাত হয়ে যায় আরেক ঘাতের কারণ
আমি কেবল চেয়ে থাকি অবাক বিস্ময়ে
মনে ভাবি একদিন বদলে দেব এই চারিধার
কল্পনার সব রঙ যে সঙ্গী আমার
মুক্ত আমি যাই চলে যাই মনের দেশে
কী দারুন যে স্বপ্ন আমার সেই আবেশে
জগৎ যেন নিরাশ ভরা নৌকো হায়
চলছি ছুটে এই চলা মোর নাও যদি হয়।

কবিতা চার
ভাবি একরাশ ঝলমলে নীলের কথা
হায় মন ভরে গেল যেন নিকষ কালো ব্যথা
হতাশা এল মনের গহীন কোণে
রঙের এই দুরন্তপণা বারম্বার খেলায় মাতে আমার সাথে
অসহায় আমি হন্যে হয়ে ফিরি
তাইতো এমন সহসা উঠে দাঁড়াই আর পাকে পাকে ঘুরে ফিরি
শরীরের এই ঘুরপাক
চিন্তাগুলোকে এক সারে দাঁড় করিয়ে দেয় যেনবা
কালো চিন্তার ঘোর যায় কেটে
বুঝতে পারি যত জোরে ঘুরি আমি
কালোরা সরে যায় তত দূরে
আঁধারের একটি বিন্দুও যখন আর নেই বলে মনে হয়
দূর হয়ে যায় সকল নিকষ কালো
সহসা উল্টো ডানায় ভর করে ঘুরতে থাকি
নীলের অন্বেষণে ফিরি
কত নীল চাই তোমার দিতে পারি আমি সব
যত নীল চাই ঘুরব তত বেগে
না হলে কীসের এত তাড়া
যেন ঘুরন্ত বৈদ্যুতিন পাখা হয়ে যাই
যখন থেমে যাই রাজ্যের দঙ্গল ভীড় করে আবার
ধুলায় লুটায় ছিন্নভিন্ন শরীর আমার
কী করে হায় জুড়ব বলো ওদের আবার

Monday, 7 September 2009

জেনেটিক বিজ্ঞান ও প্রতিবন্ধীতা

বর্তমান পরিবর্তনশীল নতুন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নীতি ও নৈতিকতার কিছু চরম ক্ষেত্রে সভ্যতার সঠিক অবস্থান গ্রহন। বিশেষ করে জেনেটিক প্রতিবন্ধীতার ব্যাপারে সময়ের সাথে সাথে মানুষের ধারনা ও উপলব্ধি বদলাচ্ছে। সমস্যাটি নিয়ে মানুষ নতুন করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গীতে ভাবতে শুরু করেছে। এই সমস্যা সমাধানে অনেকে অনেক ভাবেই কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু মুল সমস্যা হচ্ছে সমস্যাটিকে কোন দৃষ্টি ভঙ্গীতে দেখা হচ্ছে, নানা জন নানা ভাবে বিষয়টি দেখছে এবং দেখতে চাইছে। বিশেষ করে জেনেটিক বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর উন্নয়নের ফলে জেনেটিক প্রতিবন্ধীতা্‌ নিয়ে মানুষকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বিজ্ঞান, রাজনীতি, সমাজ, ধর্ম ও নৈতিকতার আলোকে জেনেটিক বিজ্ঞানের কিছু চরম ক্ষেত্রে সীমানা এখনো অমিমাংসিত। তাই সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি সমূহের বিজ্ঞান এবং নৈতিকতার কিছু চরম ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়ার সচেতন প্‌্রবনতা বিষয়টিকে উন্নয়নকর্মীদের জন্য আরও কঠিন ও বিভ্রান্তিকর করে তুলছে। নতুন করে জেনেটিক বিজ্ঞানের আলোয় ভীন্ন মাত্রায় বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে দেখা হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমন্বয়ে। আর প্রতিবন্ধীরা নিজেরাই বা সেটিকে কিভাবে দেখছে, জেনেটিক প্রতিবন্ধীরা যাদের চিকিৎসায় ভাল করা সম্ভব কিম্বা প্রায় ভাল করা সম্ভব। এ বিষয়ে প্রধান বিবেচনা যদি হয় জেনেটিক প্রতিবন্ধী কোন শিশু জন্মাবেনা তাহলে সেটিকে নৈতিকতা সমর্থন করে কিনা, তাছারা মানুষের ধর্মীয় ধারনা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি যাদের সচেতন প্রচেষ্টাতেই তাদেরকে আলাদা করে রাখা হয়েছে তারাই সব চেয়ে বড় সমস্যা ;কারণ মানুষ মাত্রই তার সম্ভাবনার সর্বোচ্চ বিকাশের সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে। তাদেরকে আমরা মানসিকভাবে আলাদা করে রেখে নিজেরাই সামাজিক সমস্যা তৈরি করছি; আবার সেই সমস্যা মোকাবেলার চেষ্টাও করছি তাতে তাদের কি উপকার হল তা অস্পস্ট, কিন্তু যে বিষয় গুরুত্তপূর্ন তা হচ্ছে এই সমস্যাটিকে নিয়ে মুল দৃষ্টি কেন্দ্রীয়ভাবে হবে নাকি প্রান্তিক পর্যায়ে সে বিষয়েও ভীন্নমত আছে। প্রতিবন্ধীতার ইস্যুটি জেনেটিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান,সমাজ বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অর্জিত জ্ঞানের উপর পূনঃনির্মিত হচ্ছে যা খুবই ইতিবাচক। জেনেটিক বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব সাফল্য বিজ্ঞান ও নৈতিকতা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবাচ্ছে। নৈতিকতা একটি চলমান ধারনা মাত্র, এর কোন স্থীর বা পরম কোন মান নেই। প্রতিবন্ধীতা নিয়ে বেচে থাকার দৈনন্দিন নেতিবাচক অভীজ্ঞতাই তাদের নিজেদের সম্পর্কে আলাদা ভাবার আবহ তৈরী করে। স্বাভবিকত্বের ধারনা তাদের এই আলাদাকরনের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিকে দৃঢ় ও স্থায়ী করে এবং এই ধারা সমাজের সর্বত্র প্রতিক্রিয়াশীল। প্রতিবন্ধীতার প্রকৃত রুপ বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজা্‌ঞানের ভুমিকার পরিবর্তিত ইতিবাচক অবস্থার প্রেক্ষিতে উপলব্ধি করতে হবে। জেনেটিক বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে প্রতিবন্ধীতার সরুপই বদলে গেছে,কিন্তু জেনেটিক বিজ্ঞানের সীমানা নৈতিকতার আলোকে কিছু চরম জায়গায় অমিমাংসিত। সমাজ বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষনা কিছু চরম ক্ষেত্রে যৌক্তিক ফলাফল সচেতন ভাবে এড়িয়ে যায়। প্রতিবন্ধীতা নিয়ে আমাদেও বর্তমান ভাবনা একটা ক্রান্তিকাল কাটাচ্ছে,দৃষ্টিভঙ্গিজাত কিছু মৌলিক বিভাজনের কারনে এসংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টাও বিভাজিত এবং ফলাফল প্রত্যাশিত ভাবেই অপ্রত্যাশিত ও হতাশা ব্যঞ্জক। কিন্তু একটা বিষয় অমিমাংসিত থেকেই যায় যে, জেনেটিক বিজ্ঞানের ব্যবহারে ক্রমান্বয়ে প্রতিবন্ধী বিহীন একটি পৃথিবীই কি আমাদের কাম্য নাকি তাদের সমাজের বাস্তব অংশ হিসাবে তাদের অস্তিত্ব চিরকালই থাকবে আর সেভাবেই সামাজিক কাঠামো গড়ে উঠবে।আমাদের বর্তমান সামাজিক কাঠামোতে প্রতিবন্ধীতার বিষয়ে আমাদের যে রকম উপলব্ধি সেভাবেই তাকে আমরা বর্ননা করি। আবার সেভাবেই তা উপলব্ধিও করি, একই চক্রে বাধা। এবং পরিবর্তনের ধারায় প্রতিবন্ধীদের সহজাত বৈচিত্রতা আমরা এড়িয়ে যাই। প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষনের দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা আমাদের পর্যবেক্ষনের বস্তু বিষয় নয়। তারা আমাদের মুল জীবনের অংশ নয়, তারা আলাদা, আমাদের দয়া-দাক্ষিন্য ও করুনার উপর নির্ভরশীল আলাদা গোষ্ঠী। যেহেতু প্রতিবন্ধিদের নিয়ে আমাদের সমাজের ধারণাগত বিভাজন ও বৈষম্য এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাই তা দুই ভাবেই করতে হবে। আমাদের উন্নয়ন ধারণার মূল স্রোতে তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে দয়া-দাক্ষিন্যের দৃষ্টিতে নয় বরং সমঅংশীদারিত্ব এবং সমঅধিকারের ভিত্তিতে। প্রকৃত পক্ষে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে তাদের ব্যক্তিক উন্নয়নের চেয়ে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনই বেশী দরকার, কারন প্রতিবন্ধীরা মুলত মনস্তাত্ত্বিক ভাবে আমাদের চোখে “স্বাভাবিক” নয়। প্রতিবন্ধীতার ধরন সমাজ ও ব্যক্তি বা পারিবারিক পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন,এই সমস্যাটি সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমন্বয়ে দেখতে হবে, নৈতিকতার বিষয়টি এখানে মানব অর্জিত জ্ঞানের চলমান ধারাই নির্ধারন করবে, কারন নৈতিকতার কোন স্থীর মূল্য কখনোই ছিলনা,এখনো নাই,ভবিষ্যতে থাকবে এমনটি আশা করার কোনই কারন নেই। কিন্তু আমাদের ধারনায় যে নৈতিকতাবোধ বর্তমানে কার্যকর তা সবলের ধারনাজাত, দুর্বলের অবস্থান থেকে নয়। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমাদের ধারনা একটা ক্রান্তিকাল কাটাচ্ছে, দৃষ্টিভঙ্গীজাত কিছু মৌলিক বভাজনের ফলে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমাদের যে উপলব্ধী সেভাবেই এসংক্রান্ত সকল কর্মকান্ড পরিচালিত, বিভিন্ন স্তরে তাদের আলাদাকরনের প্রচলিত ব্যবস্থায় তারা নিজেরাও নিজেদের আলাদা ভাবতে বাধ্য হয়। সমাজ ও সময় সেভাবেই আমাদের মানসিক কাঠামো তৈরী করে যা সামাজিক ও পারিবারিক পরিকাঠামো তৈরী করে। পরিবর্তিত পৃথিবীতে আমাদের অর্জিত জ্ঞান কিভাবে ব্যবহার করব তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কিভাবে আমরা তা করতে চাই। স্বাভাবিকত্বের ধারনা মানববৈচিত্রতার অবমূল্যায়ন, পরিবর্তনের ধারায় মানব বৈচিত্রতাই আসলে প্রকৃত স্বাভাবিক। স্বাভাবিকত্বের কোন স্বাভাবিক রুপ নেই, তা স্থান,কাল ও পাত্র নির্ভর। স্বাভাবিকত্বের ধারনায় আসলে আমাদের মানসপটে প্রতিবন্ধীতার ধারনাই ফুটে ওঠে। সমাজে দূর্বলের উপর সবলের মনোজাগতিক আধিপত্যকামী শক্তির প্রাধান্যের ফলেই প্রতিবন্ধীদের সমপর্কে আমাদের মনে নেতিবাচক ধারনা তৈরী করে।

Monday, 3 August 2009

Our major accomplishments...

Upcoming....
  • Book entitled, "I'm a Person, Not a Puzzle: Life and Struggle of Autistic People to be published by Srabon Publishers
  • Protibondhita O Unnoyon: Bhabna o Torpotota (Disability and Development: Concepts and Practices) in Bengali

Who we are...

  • A multi-disciplinary team
  • Unity and Diversity in team
  • Believers of equal rights and dignity of persons with disabilities
  • Promoters of disability-pride
  • Experienced to work on the issues of disability and development from a rights-based approach
  • Concrete work experience on CRPD and its further development process
  • A registered non-profit

Saturday, 25 July 2009

Disability Bangladesh for smarter Bangladesh

Disability Bangladesh aims to promote disability equality in the society. We perceive disability as as issue of social inequality. Persons with disabilities experience worst form of discriminations, exploitations and dominations that come to their lives in form of 'rehabilitation', welfare, protectionism, charity/welfare and pity. We aim to contest all such efforts that impacts negatively in the lives of persons with disabilities. CRPD is the vehicle we interpret in local language and context. Its a political issue, therefore, we do not believe in any apolitical answer... Leadership of Disability Bangladesh: Chairperson: Mahbub Kabir, PhD Researcher, Dublin Institute of Technology (DIT); General Secretary: Faisal-Bin-Majid, Coordinator, BNPS; Treasurer: SM Mizanur Rahman, Associate Coordinator, IED; Member: Mahtabul Hakim, Gender Advisor, GTZ; Member: Vashkar Bhattacharjee, Programme Officer, YPSA and DAISY Focal Point

Sunday, 19 July 2009

Delwara's experience of human rights, disability and poverty

We met Delwara with her eight year old boy Shubho who was riding on a wheelchair just in front of National Disability Forum (NFOWD) seeking arm in a dusk of July 2009. Delwara an educated women, does sewing at her neighbourhood at Rayerbazar, the fringe of the capital city to earn the bread for her family, had never tried this before she lost her husband who survived two kids with disability and some others. Shubho, Delwara's youngest boy goes to school, presently at grade two. Shubho does not like this street earning, so does Delwara. But had her last chance to survive after a horrible experience she just had following a police arrest and torture. Shubho and her elder sister had a membership with CSID, an NGO, by virtue of their disability. A CSID staff asked Delwara to send her other girl to work as domestic help. That master had a burglary and they suspected poor domestic help who just joined. Delwara, the mother got a police arrest following that incident. Police took her to remand and tortured like anything. She sold all her belongings to bribe police and now became a part time street beggar in the town. Shubho hates begging, he does not like this at all, but could not protest since hunger and extreme poverty knocks their door every single moment. Delwara sought support from CSID, they took her to BLAST for her human rights protection. Nothing worked. Human rights is not for these people. Therefore, seeking arm became silent part time job of Delwara's family. "You think I like this job being an educated women?" asked Delwara, "They made me destitute and sent all of us to the street", she sobbed. We became speechless and tried to understand the meaning of 'human rights' and 'poverty'...
Photo: Mahbub Kabir, taken and published with consent of the subject.
Story: Mahbub Kabir, July 2009

Saturday, 18 July 2009

অটিজম থেকে আরোগ্য?

মাঝেমধ্যে আমি ভীষন রেগে যাই যখন শুনি যে অটিজম ‘সারিয়ে তোলার’ চেষ্টা করা হচ্ছে। অটিজম থেকে আমাকে ‘সারিয়ে তোলা’ হোক তা আমি চাই না। অনুভূতি প্রকাশ করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন এমন অসংখ্য অটিস্টিক মানুষের একই মত। অটিজম আমার সাথে বাস করা আলাদা কোন কিছু নয়। আমি নিজে যা, তার নামই অটিজম। আমার আবেগের প্রতিটি অভিজ্ঞতায়, আমার ভাবনার পরতে পরতে আছে অটিজম। আমার সকল দর্শণ, রাজনৈতিক বিশ্বাস আর ধর্মীয় আবেগ জুড়ে এই অটিজম। আমার পছন্দের চাকুরি, পোশাকের পছন্দ-অপছন্দ, প্রিয় গান, প্রিয় সাহিত্য, পছন্দের শিল্পকর্ম এবং অপছন্দের সমস্তকিছুতে এই অটিজম প্রভাব বিস্তার করে। মানবতার প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যক্তি মানুষের প্রতি আমার মতামত, সকল কিছুতেই আমি অটিস্টিক। অটিজম ‘খাঁচা’ হয়ে আমাদের জেলখানায় পুরে রাখেনি। অটিজম থেকে ‘মুক্ত হয়ে আসছে’ বলে কিছু নেই। কোন ব্যক্তির শরীর অটিজম তুলে নেয়া যদি সম্ভব হতইবা, তাহলে সে আর আগের মানুষ থাকত না, হয়ে যেত নুতন কোন মানুষ। সেই মানুষটি হয়তো তার চারপাশের পরিবেশে বেশি করে খাপ খাওয়াতে পারত। সেই মানুষটি হয়তো সমাজের রীতিনীতি আরো বেশি করে মেনে চলত। একই অবস্থায় গোঁ ধরে থাকত না। সেই মানুষটি দেখতে ঠিক আগের মানুষটির মতই লাগবে। তবে সে হয়ে যাবে পুরোপুরি আলাদা এক মানুষ। আরেক অটিস্টিক ব্যক্তি বলেন, যখন লোকজন কোন অটিস্টিক ব্যক্তিকে সারিয়ে তোলার কথা বলেন, তারা আসলে যা বলেন তা হল, এই ব্যক্তির পরিবর্তে আরো বেশি ‘স্বাভাবিক’ কাউকে তারা দেখতে চান । ভেবে দেখুন তো, আপনি যদি অটিস্টিক মানুষ হতেন, আর আপনাকে নিয়ে যদি এইসব কথা বলাবলি হত, কেমন লাগত কথাগুলো শুনতে? স্বাভাবিকভাবেই ভাল লাগত না। আমি মোটেও চিকিৎসার বিপক্ষে নই। চিকিৎসায় অটিজমের কিছু কিছু ‘লক্ষণ’ ও ‘অসুবিধা’ দূর করতে নিশ্চই সাহায্য করে। যেমন ধরুন, এমন কিছু যদি থাকে যাতে একটি লোকে ঠাসা কোন ঘরের ‘আওয়াজ’ ছেঁকে ফেলে দিয়ে একজনের আলাপ শুনতে সাহায্য করবে, সে তো বেশ ভাল কথা। যদি কিছু করে অটিস্টিক মানুষের চোখে চোখ রাখতে সাহায্য করে (কোন কোন অটিস্টিক ব্যক্তি ব্যাপারটিকে একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করেন), সেটাও নিশ্চই আমাদের জন্য বেশ উপকারি। যাহোক, আমার মনকে পাল্টে দেবার যেকোন চেষ্টা আমার কাছে এমন আপত্তিকর ব্যাপার যে আমার মতে সেটা আমাকে হত্যা করবারই শামিল। সম্মোহিত করাও আমার কাছে ভয়ানক এক ব্যাপার মনে হয়। আমি ভাবতেই পারি না যে অন্য কেউ আমার মনকে নিয়ন্ত্রণ করছে, একে দিয়ে যা খুশি তাই করছে। আমি জানি যখন কেউ অটিজম সারিয়ে তোলার কথা বলেন, তারা ভালটাই করতেই চান। কিন্তু সত্যি সত্যিই তারা জানেন না যে তারা বলছেন কী। দয়া করে এইসব সারিয়ে তোলার কথা বলে আমার ধারেকাছে কেউ যেন এসো না। স্টার ট্রেক এর ভক্তরা আমি কী বলছি বুঝবেন। আমি আর সবার ভিড়ে হারিয়ে যেতে চাই না। স্বকীয়তা নিয়ে আমার মত থাকতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোন লেখকের অসামান্য এই লেখাটি অনুবাদ করেছেন মাহবুব কবীর। ওয়েব-উপযোগি করেছেন ফয়সাল বিন মজিদ। লেখাটির মূল ইংরেজী পাবেন দি মাইন্ড উইদইন নামের একটি ওয়েব সাইটে। http://within.autistics.org/index.html লেখার সময়কাল : ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০০

Monday, 6 July 2009

I'm a person, Not a puzzle: Life and Struggle of Autistic People

Disability Bangladesh is going to present a new book on the issues of life and struggle of autistic people. The book focuses on the issues in Bangladesh and beyond. The study does not indent to find any cause of autism, therefore believing a cure has no pint. Treatment? Yes, we believe there is a treatment to autism, which is nothing but to respect and celebrate this human otherness. The book reveals the existing politics and debates regarding the issue and introduces audience the movement of autistic people around the globe. It also contains some touchstone writings of renowned autistic writers and philosophers, provides an analysis to the Bangladeshi autism work and sketches a framework of human rights-based approach to deal with the issue.

Friday, 3 July 2009

World Federation of the Deaf

Freedom Centre: Mental Health Rights Movement

International Disability Movements

IDA – INTERNATIONAL DISABILITY ALLIANCE

IDA is an international network representing the following organisations:

Disabled Peoples' International, Inclusion International,International Federation of Hard of Hearing People, Rehabilitation International,World Blind Union,World Federation of the Deaf, World Federation of the Deafblind, World Network of Users and Survivors of Psychiatry, Arab Organization of Disabled People, European Disability Forum

www.internationaldisabilityalliance.org

Short introduction of IDA member

Disabled Peoples' International is a network of national organizations or assemblies of disabled people, established to promote human rights of disabled people through full participation, equalization of opportunities and development. Inclusion International is a grassroots organization of persons with an intellectual disability and their families which advocates with its member societies in over 115 countries for the inclusion of people who have an intellectual disability in all aspects of their communities , based on shared values of respect, diversity, human rights, solidarity and inclusion International Federation of Hard of Hearing People IFHOH is an international non-governmental organization of national associations of and for hard of hearing and late deafened people. IFHOH provides a platform for co-operation and information exchange among its members and interested parties. As an umbrella organization and through its individual organizations, IFHOH works to promote greater understanding of hearing loss issues and to improve access for hard of hearing people worldwide. Established in 1977 as a registered non-profit organization, IFHOH currently has 47 general and associate members in 30 countries. Rehabilitation International Founded in 1922, RI is a global network of people with disabilities, service providers, researchers, government agencies and advocates promoting and implementing the rights, inclusion and rehabilitation of people with disabiliites. RI is currently composed of over 700 member organizations in nearly 100 nations, in all regions of the world. The World Blind Union is the sole voice speaking on behalf of approximately 160 million blind and partially sighted persons in 178 individual member countries, representing approximately 600 organisations. The WBU advocates for human rights of persons who are blind and partially sighted and seeks to strengthen their organisations and advance the participation of all persons who are blind and partially sighted including women and youth. World Federation of the Deaf is the international non-governmental organisation representing Deaf people worldwide. A non-profit organization, WFD works for human rights and equal opportunities for Deaf people everywhere. World Federation of Deafblind, WFDB, is a non-profit, representative organisation of national organizations or groups of deafblind persons and of deafblind individuals worldwide. The aim of WFDB is to be a forum of exchange of knowledge and experiences amongst deafblind persons and to obtain inclusion and full participation of deafblind persons in all areas of society. The World Network of Users and Survivors of Psychiatry is a global forum and voice of users and survivors of psychiatry, to promote their rights and interests.

European Disability Forum (EDF) is an independent European non-governmental organisation (ENGO) that represents the interests of 50 million disabled people in the European Union and stands for their rights. It was created in 1996 and is based in Brussels.

Intenational Disability Alliance

IDA – INTERNATIONAL DISABILITY ALLIANCE

IDA is an international network representing the following organisations: Disabled Peoples' International, Inclusion International,International Federation of Hard of Hearing People, Rehabilitation International,World Blind Union,World Federation of the Deaf, World Federation of the Deafblind, World Network of Users and Survivors of Psychiatry, Arab Organization of Disabled People, European Disability Forum