Thursday, 4 June 2015
Wednesday, 5 September 2012
CRPD Easy Read in Bengali (2nd Edition)
Sunday, 16 October 2011
Autistic people protest Autism Speaks
Friday, 28 January 2011
Popular Version of CRPD in Bengali
This is another consecutive success of Disability Bangladesh as the organisation did initiate the first standard translation work of CRPD, which has also been published previously and made available for free. The leadership of Disability Bangladesh made it copyleft for its further usage and multiplication.For free download please connect: http://www.nfowd.com/CRPD%20Popular%20Version.pdf
Tuesday, 16 February 2010
Monday, 15 February 2010
মাথা উঁচু করে বাঁচুক ইশারা ভাষী মানুষ-বাংলা ইশারা ভাষার চাই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
প্রকৃতির সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ, আর মানুষের সেরা সৃষ্টি হল তার নিজের ভাষা 04; একথা হলপ করে বলা যায় ভাষা পৃথিবীতে কোন ওহি নাজেলের মাধ্যমে আবির্ভূত হয়নি বরং তা মানুষের প্রয়োজনে মানুষের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে এবং এই মানুষের দ্বারাই এর বিকাশ ঘটেছে। ভাষার ব্যবহার মানব সভ্যতার বিশাল এক বুদ্ধিবৃত্তিক জয়, ভাষাই মানুষকে অন্য প্রাণীদের হতে আলাদা করেছে। ভাষা আবিস্কার হয়েছিল বলেই মানব জ্ঞান কালান্তরে সঞ্চালিত হয়ে বর্তমানেও বর্তমান। মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ‘মানব জ্ঞান’ যা ভাষার মাধ্যমেই চলমান ও জীবন্ত। ভাষা হচ্ছে জীবনের জীবন্ত ছবি যার প্রকাশ শব্দ বা ইশারায়। শব্দই একমাত্র কথা বলার উপায় নয়, আর মানুষ উচ্চারিত সব শব্দই কথা নয়। যে শব্দ কানের সদর থেকে মনের অন্দরে প্রবেশ করে অনুভূতির পর্দায় দৃশ্যকল্পের অনুরনণ তুলতে পারে তাই কথা। যে জন যে ভাষা জানে না, সেই ভাষায় কথা তার কাছে শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয়। অভ্যাসজনিত কারনে বা অবচেতনভাবেই আমরা প্রায় সকলেই প্রাত্যহিক জীবনে অসংখ্য 39;শারা বা সংকেত ব্যবহার করি ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে। কিন' কেবল মাত্র সংকেত বা ইশারার মাধ্যমেই যে একটা সয়ংসম্পূর্ন ভাষা হতে পারে যা দ্বারা পরিপূর্ন ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় এটা আমাদের অনেকেরই অজানা। পৃথিবীতে প্রায় প্রতি লাখে দেশ ভেদে তিরিশ থেকে সত্তুর জন লোক বাক প্রতিবন্ধি এবং তারা ইশারা ভাষার মাধ্যমে কথা বলে।
ইশারা কি ভাষা? শব্দ ছাড়া কি ভাষা হয়? ক’জনাই বা কথা বলে ওভাবে? ওরা তো বোবা, বধির! ‘বোবার কোন শত্র্ব নেই’-এমন অনেক প্রবাদও চালু আছে আমাদের সমাজে। আমাদের মনোজগতেও দখল করে আছে এই ভাবনা আর বিশ্বাস। ফলে যে জ্ঞানের বলে আমরা আলাপচারিতা জমিয়ে তুলি, বর্ননা করি, ব্যাখ্যা দেই, তার প্রাথমিক অনুমানই হলো শব্দ, শব্দ ছাড়া ভাষা হয়না। এমন কি জ্ঞান-লাভের প্রাথমিক পর্বে আমরা যখন ভাষার সংজ্ঞা শিখেছি, তাতেই বলা হয়েছে ‘অর্থবোধক শব্দের’ আবশ্যকতার কথা। ভাষা বিষয়ে জ্ঞানের এই প্রতিষ্ঠিত বলয়ের বাইরের জগত নিয়ে আজকের কথা। এই ভাষার নাম ইশারা ভাষা। ইশারা নিজেই একটি ভাষা। সবচেয়ে আদি ভাষা বোধ করি। আজকে দুনিয়ায় তবে কেন এই ভাষার কথা উঠছে? মজার ব্যাপার হলো:ফরাসী ইশারা ভাষা, ব্রিটিশ ইশারা ভাষা, আমেরিকান ইশারা ভাষা-এগুলো রীতিমত রাষ্ট্র-স্বীকৃত ভাষা। আমেরিকায় ইশারা ভাষা তো সেদেশে চতুর্থ বহুল-ব্যবহৃত ভাষা! চমকে উঠবার মতোই তথ্য বটে, শুধু তাই নয় আমেরিকার সাউথ ডাকোটায় গড়ে উঠার ইন্তেজাম শেষ হয়েছে ইশারাভাষীদের জন্য সয়ংসম্পূর্ন আলাদা একটি শহর। বাংলায়ও ইশারা ভাষা আছে। আছে এর বর্নমালা, অর্থবোধক ইশারামালা আর ব্যবহারবিধি। শিখে ব্যবহার করতে পারেন যে কেউই। পশ্চিমের অনেক দেশেইে, বিশেষ করে, আমেরিকা ও কানাডাতে আমরা বাংলাদেশে যাদেরকে আইনী ভাষায় ‘মূক ও বধির’ কিংবা যত্ন করে ‘বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি’ বলি, তাদের রয়েছে শক্তিশালী সংগঠন ও এর সামাজিক প্রতিফলন এবং জাতীয় উন্নয়নে সমঅংশীদারিত্ব। প্রতিবন্ধি যদি হয় পারা-না-পারার মানে, সেই হিসাবে এঁরা নিজেদের গড়পড়তায় ‘প্রতিবন্ধি’ মানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, তারা অন্য যে কোন মানুষের মতোই সকল কাজ করতে সৰম। স ্বাবলম্বীভাবেই। তাঁদের রয়েছে একটি নিজস্ব শক্তিশালী ভাষা। ইশারা ভাষা। মুশকিল হলো ভাষাটি অন্যরা জানেনা। জানতে চেষ্টাও করেনা। অথচ ইশারা ভাষার ইতিহাস মোটেও নতুন নয়। ইশারা ভাষার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মুলত ফ্রান্সে, যদিও বিচ্ছিন্ন ভাবে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও সীমিত আকারে ইশারা ভাষার ব্যাবহার ছিল। এই ভাষার উন্নয়ন ও অস্তিত্বে জন্য একক কৃতিত্বের দাবিদার ফ্রান্সের অননব ঝরপধৎফ ১৭৫৫ সালে প্যারিসে ইশারাভাষীদের জন্য অননব ফব খ'ঊঢ়বব নামে প্রথম কোন শিৰা প্রতিষ্ঠান স'াপন করে এ ভাষার উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক সূচনা করেন। কিন' আজ পর্যন্ত এই ভাষাকে উন্নয়নের মূল স্রোতে ভাবা হয়নি ফলে এই ভাষার নেই কোন স্বীকৃতি। তারা একটি ক্ষুদ্রভাষাগোষ্ঠী (ষরহমঁরংঃরপ সরহড়ৎরঃু) তাঁদের দাবি, পৃথিবীর তাবৎ ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠির মতোই তারা অবহেলিত এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্যেও শিকার। তবে খুশির বিষয় হল, আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রন্সসহ অনেক দেশেই এই ইশারা ভাষার স্বীকৃতি রয়েছে। বর্তমানে আমেরিকায় ব্যবহৃত ইশারা ভাষা উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তখনকার ফ্রেন্স ও আমেরিকান ইশারা ভাষার সমন্বয়ে তৈরী করা হয় যা বর্তমানে পৃথিবীতে সবচেয়ে সুসংগঠিত ইশারা ভাষা। উন্নয়নশীল বিশ্বেরও অনেক দেশেই রয়েছে এই ভাষার মর্যাদা। রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতির সাথে সম্পর্ক মানুষের মর্যাদার। মানুষের স্বাতন্ত্র আর ভিন্নতার তথা মানব বৈচিত্রের স্বীকৃতি। চিকিৎসাবিদ্যার জ্ঞান যাদেরকে ‘বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি’ বলে এবং যারা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ইশারা ব্যবহার করেন, তারাই মুলত নি:শব্দ এই ভাষার ব্যবহারকারী বা ইশারাভাষি। পন্ডিত দাইসাকু ইকেদা প্রভাবিত বৌদ্ধ দর্শনের আধুনিক সোকা গাকাই ঘরানার বক্তব্য হল, এদেরকে গড়পড়তায় প্রতিবন্ধি মানুষের কাতারে দাড় করিয়ে দেয়া অন্যায়। এর পূর্ব অনুমান হল, ‘এরা কথা বলতে পারেনা’। কথা মানে শব্দ-ঠিক এই মত সত্য ধরে নিয়ে শব্দ দিয়ে কথা বলা মানুষেরা এক জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই রাজ্যে শব্দহীন ভাষার নাই কোন স'ান। কম-সংখ্যক মানুষের বলা ভাষার মূল্য নেই। শব্দের আর সংখ্যার এই আধিপত্য বলে দিয়েছে বিষয়টা ঠিক স্বাভাবিক নয়। আধিপতির ভাষাই এমন। অধিপতি সাদা মানুষও একদা ঘোষনা করেছিল যে কালো মানুষ স্বাভাবিক নয়। পুর্বষ ঘোষনা করেছিল নারীরা মানুষ হলেণও অসম্পূর্ন। এবং যা কিছু বেশীর ভাগ মানুষ করে, সেই সমাজের সংস্কৃতিতে তা-ই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকতার মান দণ্ড তাই ঠিক করে দিয়েছে শব্দভাষী সংখ্যাগুর্বর দল। এর ফলে দেখা যাবে , বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা এককটি ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠী হলেও তাদের মাতৃ ভাষার ব্যবহার বিকশিত হবার সকল দ্বার র্বদ্ধ। সরকারী ভাবে এদেশে ইশারা ভাষার স্কুল আছে। তবে স্কুলগুলোর নাম ‘মুক ও বধির’ বিদ্যালয়। লোকালয়ে বলে ‘বোবা স্কুল’।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰা ও গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রতিবন্ধিতা নিয়ে কর্মরত বেসরকারী সংগঠন সেন্টার ফর ডিজএবিলিটি এন্ড ডেভলপমেন্ট (সিডিডি) আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস'া একশন এইড ও ক্রিষ্টোফেল বৱাইন্ড মিশন এর সহযোঘীতায় ইশারায় বাংলা ভাষা তৈরীর কাজ করে। ইনস্টিটিউটের প্রয়াত শিৰক ড. নিরাফাত আনাম এই কাজের নেতৃত্ব দেন। সারা দেশের শিৰিত, স্বল্পশিৰিত ও নিরৰর ইশারাভাষী ব্যক্তি, ইশারা ভাষার প্রশিৰক, বিশেষ শিৰা গবেষক, উন্নয়নকর্মী মিলে একটানা সাত বছর কাজ করে শব্দমালা তৈরী করা হয়। এর আগে কাজ চালাবার মতো কিছু বাংলা ইশারা শব্দমালা তৈরী করে দিয়েছিল জাতীয় বধির সংঘ। তা দিয়ে সম্পূন্র্ ভাষা হয়না।
এখন কি করতে হবে? ইতোমধ্যেই তৈরী এই কারিকুলামকে সরকারী কারিকুলামে পরিণত করা দরকার। স্কুলগুলোর জন্য। কিংবা সরকারী বিদ্যালয়গুলোতে যাকিছুই ভাষার ভান্ডার আছে, তার সহযোগী কারিকুলাম হতে পারে এই কাজটি। সরকারী ‘মুক ও বধির’ বিদ্যালয়সমুহের নাম পরিবর্তন করে ‘ইশারা ভাষার/ইশারাভাষীদের স্কুল’ করা দরকার। এতে সমাজে এরা ‘ভাষাহীন’ বা ‘নির্বাক’ হিসাবে পরিচিত না হয়ে ভাষাভাষি মানুষ হিসাবে পরিচিত হতে পারবে। দুর হতে শুর্ব করবে এদের প্রতি আরোপিত ভুল ধারণা। ইশারাভাষীদের একটি স্বতন্ত্র ভাষাগোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া দরকার। এই ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। এৰেত্রে বাংলা একাডেমির ভ'মিকা রাখার অবারিত সূযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই সামাজিক আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে ইউনেস্কো। এই জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্যের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা দরকার যাতে মানব জ্ঞানে সকলের সমঅধিকারের সূযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলেই তারা উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আত্নমর্যাদাশীল মানুষ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবে।। গনমাধ্যম, বিশেষ করে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভ'মিকা বেশী গুর্বত্বপূর্ন। তথ্য মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমুর্তি পরিবেশন জর্বরী। এদের সম্পর্কে গৎবাধা, ভুল ধারণাগুলি দুর করা দরকার। প্রকৃত অর্থে ইশারাভাষী মানুষদের মূল প্রতিপৰ শব্দভাষী মানুষদের চেতনায় গ্রনি'ত ভুল উপলব্ধি। ইশারাভাষী মানুষদের সম্পর্কে শব্দভাষী মানুষদের সঠিক আত্নউপলব্ধির অভাব সভ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। সমপ্রতি বাংলাদেশ জাতিসংঘের প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠীর অধিকার সনদে অনুস্বাৰর করেছে। প্রতিবন্ধি জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এটি। গত ৩ মে ২০০৮ থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। আমাদের জন্য এই সনদ এখন আইনী বাধ্যবাধকতা 04; সনদে বাচনিক ও ইশারা ভাষাসহ অবাচনিক সকল ভাষাকেই ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি মানব পরিবারের এক ক্ষুদ্র ভাষাভাষি গোষ্ঠীর প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন।
এরই মধ্যে বায়োনিক ইয়ার বা ককলিয়ার ট্রান্সপৱান্ট আবিস্কার হয়েছে। ইশারা ভাষার মানুষের অস্তিত্বের জন্য এটি একটি বড় ঘটনা। এই আবিস্কারের মূখোমুখি অবস'ান ইশারা ভাষার। বিজ্ঞানের সাথে সামাজিক দর্শনের দ্বন্দ্ব। প্রতিপৰ বিজ্ঞান? ডেফ লাইফ নামে খুব জনপ্রিয় ম্যাগাজিন একবার এক জড়িপ চালাল। ইশারাভাষী মানুষদের কাছে জানতে চাওয়া হল তারা শুনতে চান কি-না।আশি শতাংশ মানুষের জবাব ছিল ‘না’। জানতে চাওয়া হল, তারা ককলিয়ার ট্রান্সপৱান্ট করতে চান কি-না। দশ জনে আটজন জবাব দিল ‘না’। শব্দের কোন অর্থই নেই তাদের জীবনে। কেন শুনতে পারা দরকার, তাই ভেবেই তারা বিস্ময় প্রকাশ করলেন। এটা ইশারাভাষী পরিচয় নিয়ে সম্মানের সাথে বাস করা মানুষদের মতামত। তাদের অভীজ্ঞতা হল:শব্দ দিয়ে কথা-বলা মানুষেরা ভীষন অসহিষ্ণু! অন্তত তাদের বেলায়। তাই ঐ দলে নাম লেখানোয় এত অনীহা।
এই দেশের অগ্নি সন্তানেরা নিজের ভাষায় কথা বলবার অধিকার পাবার জন্য লড়ে ইতিহাস গড়েছে। আবার এই দেশেই ভাষাগত ভাবে সংখ্যালঘু মানুষেরা এখনও তাদের নিজের ভাষায় লেখাপড়া করতে পারেনা। আর ইশারাভাষীদের সমস্যা তো আরেক ধাপ প্রকট। ইশারা নামের এই ভাষাটির কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নাই। একটি স্বতন্ত্র ভাষাগোষ্ঠী হিসাবে অধিকারের দাবি-দাওয়া তো আরো পরের কথা। শব্দভাষীদের গড়া কোন প্রতিষ্ঠানে এদের প্রয়োজন উপেৰিত, এরা অবাঞ্চিত। উপেৰা, বঞ্চনা আর শব্দভাষী প্রভূর হাতে এক অদৃশ্য দাসত্বের পিঞ্জরে কর্বনার জিঞ্জিরে বাধা পড়ে আছে এই মানুষদের জীবন। বিপরীতে সন্দেহের ভ্র্বকুটি, স্বীকৃতি দেবার প্রতাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শব্দে কথা-বলা মানুষের দল, তাদের দাপুটে প্রতিষ্ঠান ও পরিবেশ। পাশে দাঁড়িয়ে আমরা ইশারাভাষী জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রতিবন্ধকতা, সামাজিক দূর্ভোগ ও বৈষম্যের অবসান চাই। চাই পৃথিবীর সকল রস, রূপ, গন্ধে সকল মানুষের সমান অধিকার। মানুষের শারিরীক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ভিন্নতার বৈচিত্র নিয়ে একটি সুন্দর পৃথিবী চাই। ইশারাভাষী মানুষের মনের কথা জানুক শব্দভাষী মানুষেরা। শব্দের দাপটে গড়ে ওঠা ভাষাভিত্তিক জ্ঞানের অসারতা ঘù7;চে যাক শব্দহীন ভাষার আলোকবর্ö8;িকায়। আসুন সকলে মিলে ইশারভাষী মানুষের জন্য একটি অনুকুল পরিবেশ গড়ে তুলি। যাতে কোন মানুষের বিকাশে ‘শব্দভাষা’ বৈষম্যের দেয়াল না হয়ে দাাঁড়ায়। যেন কর্বনার শিকার না হতে হয় তাদের। আজ ও আগামীর সকল ভাষাভাষী যেন সমান অধিকার ও মর্যাদা পায়। মানুষের মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বপ্ন পূরনে রাষ্ট্র এগিয়ে আসবে নিশ্চই। এটাই তো ছিল মহান সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদের অঙ্গিকার-“সকল নাগরিকের জন্য সূযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন”।
Mahboob Kabir, Mizan Rahman
Wednesday, 10 February 2010
প্রতিবন্ধিতার কারণে হত্যা করা সেই টেরি শিয়াভো কে নিয়ে চলচ্চিত্র
টেরিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। নাম দি টেরি শিয়াভো স্টোরি। লিংক দেয়া হল :
http://www.theschiavostory.com/?gclid=CPHniJHW2ZgCFQIMswod3nm7dQ
Sunday, 31 January 2010
টিটো রাজস্বী মুখোপাধ্যায় : এক অটিস্টিক কবি দার্শনিকের পৃথিবী
কবিতা এক
নর-নারীর কৌতুহলী চোখ আমায় পরখ করে
ডাক্তারের দুর্বোদ্ধ শব্দকোষ বয়ান করে শরীর আমার
আমি চেয়ে থাকি অবাক বিস্ময়ে
আমার চিন্তা আমার বলা-না-বলার চেয়ে দীর্ঘতর
আমার প্রতিটি সঞ্চরণ ভেসে আসা সব আর্তনাদ
ঘটনা পরম্পরার বন্দীশালা থেকে
কারণের ঘাত হয়ে যায় আরেক ঘাতের কারণ
আমি কেবল চেয়ে থাকি অবাক বিস্ময়ে
মনে ভাবি একদিন বদলে দেব এই চারিধার
কল্পনার সব রঙ যে সঙ্গী আমার
মুক্ত আমি যাই চলে যাই মনের দেশে
কী দারুন যে স্বপ্ন আমার সেই আবেশে
জগৎ যেন নিরাশ ভরা নৌকো হায়
চলছি ছুটে এই চলা মোর নাও যদি হয়।
কবিতা চার
ভাবি একরাশ ঝলমলে নীলের কথা
হায় মন ভরে গেল যেন নিকষ কালো ব্যথা
হতাশা এল মনের গহীন কোণে
রঙের এই দুরন্তপণা বারম্বার খেলায় মাতে আমার সাথে
অসহায় আমি হন্যে হয়ে ফিরি
তাইতো এমন সহসা উঠে দাঁড়াই আর পাকে পাকে ঘুরে ফিরি
শরীরের এই ঘুরপাক
চিন্তাগুলোকে এক সারে দাঁড় করিয়ে দেয় যেনবা
কালো চিন্তার ঘোর যায় কেটে
বুঝতে পারি যত জোরে ঘুরি আমি
কালোরা সরে যায় তত দূরে
আঁধারের একটি বিন্দুও যখন আর নেই বলে মনে হয়
দূর হয়ে যায় সকল নিকষ কালো
সহসা উল্টো ডানায় ভর করে ঘুরতে থাকি
নীলের অন্বেষণে ফিরি
কত নীল চাই তোমার দিতে পারি আমি সব
যত নীল চাই ঘুরব তত বেগে
না হলে কীসের এত তাড়া
যেন ঘুরন্ত বৈদ্যুতিন পাখা হয়ে যাই
যখন থেমে যাই রাজ্যের দঙ্গল ভীড় করে আবার
ধুলায় লুটায় ছিন্নভিন্ন শরীর আমার
কী করে হায় জুড়ব বলো ওদের আবার
Wednesday, 25 November 2009
Monday, 7 September 2009
জেনেটিক বিজ্ঞান ও প্রতিবন্ধীতা
Monday, 3 August 2009
Our major accomplishments...
- Popular version of Disability Convention (CRPD) in Bengali. Publisher: National Disability Forum (NFOWD)
- Bengali translation and DAISY production of Disability and Human Rights in Bangladesh (for ADD), thanks to YPSA for DAISY support
- National Translation of CRPD. Publishers: ActionAid, ADD, NFOWD and Disability Bangladesh
- Autism Awareness Poster on the occasion of 1st World Autism Awareness Day (together with SWAC, ActionAid and NFOWD) indebted to our comrades Adwit-Baby-Rana
- Organised 3-day long Film Show on the occasion of International Day of Persons With Disabilities 2008
- Book entitled, "I'm a Person, Not a Puzzle: Life and Struggle of Autistic People to be published by Srabon Publishers
- Protibondhita O Unnoyon: Bhabna o Torpotota (Disability and Development: Concepts and Practices) in Bengali
Who we are...
- A multi-disciplinary team
- Unity and Diversity in team
- Believers of equal rights and dignity of persons with disabilities
- Promoters of disability-pride
- Experienced to work on the issues of disability and development from a rights-based approach
- Concrete work experience on CRPD and its further development process
- A registered non-profit
Saturday, 25 July 2009
Disability Bangladesh for smarter Bangladesh
Sunday, 19 July 2009
Delwara's experience of human rights, disability and poverty
Saturday, 18 July 2009
অটিজম থেকে আরোগ্য?
Monday, 6 July 2009
I'm a person, Not a puzzle: Life and Struggle of Autistic People
Friday, 3 July 2009
International Disability Movements
IDA is an international network representing the following organisations:
Disabled Peoples' International, Inclusion International,International Federation of Hard of Hearing People, Rehabilitation International,World Blind Union,World Federation of the Deaf, World Federation of the Deafblind, World Network of Users and Survivors of Psychiatry, Arab Organization of Disabled People, European Disability Forumwww.internationaldisabilityalliance.org
Short introduction of IDA member
Disabled Peoples' International is a network of national organizations or assemblies of disabled people, established to promote human rights of disabled people through full participation, equalization of opportunities and development. Inclusion International is a grassroots organization of persons with an intellectual disability and their families which advocates with its member societies in over 115 countries for the inclusion of people who have an intellectual disability in all aspects of their communities , based on shared values of respect, diversity, human rights, solidarity and inclusion International Federation of Hard of Hearing People IFHOH is an international non-governmental organization of national associations of and for hard of hearing and late deafened people. IFHOH provides a platform for co-operation and information exchange among its members and interested parties. As an umbrella organization and through its individual organizations, IFHOH works to promote greater understanding of hearing loss issues and to improve access for hard of hearing people worldwide. Established in 1977 as a registered non-profit organization, IFHOH currently has 47 general and associate members in 30 countries. Rehabilitation International Founded in 1922, RI is a global network of people with disabilities, service providers, researchers, government agencies and advocates promoting and implementing the rights, inclusion and rehabilitation of people with disabiliites. RI is currently composed of over 700 member organizations in nearly 100 nations, in all regions of the world. The World Blind Union is the sole voice speaking on behalf of approximately 160 million blind and partially sighted persons in 178 individual member countries, representing approximately 600 organisations. The WBU advocates for human rights of persons who are blind and partially sighted and seeks to strengthen their organisations and advance the participation of all persons who are blind and partially sighted including women and youth. World Federation of the Deaf is the international non-governmental organisation representing Deaf people worldwide. A non-profit organization, WFD works for human rights and equal opportunities for Deaf people everywhere. World Federation of Deafblind, WFDB, is a non-profit, representative organisation of national organizations or groups of deafblind persons and of deafblind individuals worldwide. The aim of WFDB is to be a forum of exchange of knowledge and experiences amongst deafblind persons and to obtain inclusion and full participation of deafblind persons in all areas of society. The World Network of Users and Survivors of Psychiatry is a global forum and voice of users and survivors of psychiatry, to promote their rights and interests.
European Disability Forum (EDF) is an independent European non-governmental organisation (ENGO) that represents the interests of 50 million disabled people in the European Union and stands for their rights. It was created in 1996 and is based in Brussels.